[:bn]আবু নোয়াস সুলতানের খুব প্রিয়পাত্র। দরবারে এসে সে খুব মজার মজার কিসসা শুনিয়ে সভাসদদের আনন্দ দেয়।
একদিন সে কাঁদতে কাঁদতে এল সুলতানের প্রাসাদে। বলল, ‘মহামান্য সুলতান, আমার বিবির এন্তেকাল হয়েছে।’
‘সে কী। এ তো খুব দুঃখের সংবাদ।’ সুলতান বললেন, ‘একা একা কীভাবে তোমার দিন কাটবে?’
তারপর সুলতান প্রধান উজিরকে বললেন, ‘সুলতানাকে এখানে আসতে বলুন।’
সুলতানা দরবারে এলেন।
সুলতান বললেন, ‘বেচারা আবু তার বিবিকে হারিয়েছে।’
‘তাহলে ওর আবার শাদি দিতে হবে।’ বললেন সুলতানা, ‘আমার হারেমে আছে এক বাঁদি। সে আবু নোয়াসের বিবি হবার যোগ্য।’
সুলতানা তালি বাজাতে সেখানে এল সেই বাঁদি। সুলতানা বললেন, ‘আমি তোমার জন্য খসম বেছেছি।’
‘তার পরিচয়?’ বাঁদির গলায় বিস্ময়।
সুলতানা বললেন, ‘তুমি তাকে চেনো, সে রাজসভার ভাঁড়, আবু নোয়াস।’
বাঁদি খুব খুশি হল। হারেম থেকে সে মুক্তি পাবে এবং আবু নোয়াসের মতো এমন এক মজার মানুষের সঙ্গে বিয়ে হবে ভেবে তার মন আনন্দে নেচে উঠল।
আবু নোয়াস আর বাঁদির চোখ-মুখ দেখে সুলতানা বুঝতে পারলেন, এ বিয়েতে ওদের একটুও আপত্তি নেই। সুলতানা বললেন, ‘তাহলে শাদির আয়োজন হোক।’
আবু নোয়াসকে বরের পোশাক দিলেন সুলতান। বাঁদিকে বিবির পোশাকে সাজিয়ে দিলেন সুলতানা। তাদের বিয়ে হল, খুব ধুমধাম হল। আবু নোয়াসকে এক সহস্র স্বর্ণমুদ্রা দিলেন সুলতান, আরও দিলেন ছোটো-বড়ো অনেকগুলো গালিচা।
এতগুলো স্বর্ণমুদ্রা পেয়ে তাদের সে কী আনন্দ! আবু নোয়াস যেন নিজেই সুলতান, এমন দিলদরিয়া মেজাজ তার। বিবি তার এতদিন সুলতানের হারেমে বেশ সুখেই ছিল। তার বাড়িতে বিবির যাতে একটুও অসুবিধা না হয় সেদিকে আবু নোয়াসের নজর রয়েছে। খানাপিনার ঢালাও ব্যবস্থা। বাদশাহি খানার খুশবুতে রসুইঘর ভরপুর থাকে সবসময়। বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে দিল দুজনে।
একদিন সকালে বিবি এসে বলল আবু নোয়াসকে, ‘আজ নাস্তা হবে কী দিয়ে? কিছুই তো নেই ভাঁড়ারে।’
‘তাহলে এখন উপায়?’
আবু নোয়াসের কপালে ভাঁজ পড়ল। তখন বাড়ির দামি আসবাব, সুলতানের উপহার গালিচাগুলো- সব একে একে বিক্রি হতে লাগল।
‘আজ তো এই চাদরটা ছাড়া আর কিছু নেই,’ হতাশ হয়ে বলল বিবি।
‘আমি সুলতানের কাছে এখন কোন মুখে যাব?’ আবু নোয়াস বলল,সুলতান সেপাইকে ডেকে গলাধাক্কা দিয়ে আমাকে বের করে দেবেন। তুমি বরং সুলতানার কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করে সাহায্য চাও। তিনি তোমাকে খুবই স্নেহ করেন। তোমাকে খালি হাতে ফেরাবেন না নিশ্চয়।’
বিবি বলল, ‘না না, আমি তা পারব না মালিক।’
‘বেশ, তাহলে তুমি বাড়িতেই থাক।’ রুক্ষ গলায় বলল আবু নোয়াস,‘আমি কেঁদে কেঁদে বলব, হায় হায় হুজুর আমার বিবির এন্তেকাল হয়েছে, তাকে জানাজা দেবার সামর্থ্য নেই আমার। এমন কথা শুনলে সুলতান হা-হুতাশ করবেন। তখন কিছু স্বর্ণমুদ্রার ব্যবস্থা হয়ে যাবে, কী বলো।’
‘আজ্ঞে, এটা একটা দারুন বুদ্ধি বটে।’বলল বিবি।
আবু নোয়াস সুলতানের দরবারে আজকাল আর আসেই না। হঠাৎ তাকে দরবারে ঢুকতে দেখে সভাসদরা আনন্দে হৈ হৈ করে তখনই থেমে গেল। আবু নোয়াসের এমন ভিখিরির মতো পোশাক কেন? সে ঠিকমতো হাঁটতে পারছে না যে! তার দু’চোখে জলের ধারা অবিরাম বয়ে চলেছে।
আবু নোয়াস ঠিকমতো পা ফেলবে কী করে, দরবারে ঢোকার আগে চোখে তাদের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ঘষে এসেছে যে। তার দুটি চোখ রক্তবর্ণ, জলের ধারায় ভেসে যাচ্ছে তার গাল, তার কালো কুচকুচে দাড়ি।
‘আবু নোয়াস। কী হয়েছে তোমার?’বিচলিত সুলতান চিৎকার করে জিগ্যেস করলেন।
‘আজ্ঞে হুজুর, আমার বিবির এন্তেকাল হয়েছে।’ কান্নাভেজা স্বরে জানাল আবু নোয়াস। তখনও তার দু’চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে।
‘আমরা তো সকলেই একদিন একই পথে চলে যাব।’ সুলতান বললেন উদাসীনভাবে।
সুলতানের কাছ থেকে এমন কথা শুনে আবু নোয়াস অবাক হল। হতাশ হয়ে বলল, ‘তা ঠিক হুজুর। আমার বিবিকে জানাজা দেবার সামর্থ্য আমার নেই তো গোব দেব কী ভাবে।’
সভায় গুঞ্জন উঠল। আবু নোয়াসের দুঃখের কাহিনি শুনে সবার চোখে জল। সুলতান গম্ভীর গলায় প্রধান উজিরকে বললেন,‘একে একশত স্বর্ণমুদ্রা দান করুন।’
স্বর্ণমুদ্রার থলি নিয়ে আবু নোয়াস দরবার থেকে বেরিয়ে গেল। তখনও তার চোখে জল- সে জল আনন্দের, লঙ্কার গুঁড়োর নয়।
অধীর আগ্রহে দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ছিল আবু নোয়াসের বিবি, তাকে দেখেই সে বলল,‘কিছু ব্যবস্থা হল?’
‘হ্যাঁ, একশত স্বর্ণমুদ্রা,’ স্বর্ণমুদ্রার থলিটা তার হাতে দিয়ে গম্ভীর গলায় বলল আবু নোয়াস, ‘এ আর ক’দিন থাকবে, তুমি বরং সুলতানার কাছে যাও, গিয়ে বলো তোমার খসম আর বেঁচে নেই। সে সব খুইয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে চলে গেছে।’
আবু নোয়াসের বুদ্ধির তারিফ না করে পারল না তার বিবি। আলুথালু বেশে সুলতানার প্রাসাদে গিয়ে কেঁদে ভাসিয়ে দিল সুলতানার প্রিয় বাঁদি। সুলতানা তাকে শান্ত হতে বলে জিগ্যেস করলেন,‘তুমি কাঁদছ কেন? কী হয়েছে তোমার?’
‘সর্বনাশ হয়েছে আমার,’ বলল বাঁদি, আমার খসমের এন্তেকাল হয়েছে। তিনি সব কিছু খুইয়ে চলে গেলেন। এখন আমার হাতে একটি মুদ্রাও নেই যে তাঁর শেষ কাজটুকু করব।’
সুলতানা খুব দুঃখ পেলেন তার কথা শুনে। দুইশত স্বর্ণমুদ্রার একটি থলি তার হাতে দিয়ে বললেন,‘তোমার খসম দরবারে দীর্ঘদিন সবার মনোরঞ্জন করেছেন। তাঁর শেষ কাজ ভালো করে যাতে হয় দেখো।’
সুলতানাকে আদাব জানিয়ে আবু নোয়াসের বিবি তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে এল।
আবু নোয়াস স্বর্ণমুদ্রার থলির দিকে তাকিয়ে বলল,‘বাঃ, দেখেছ কেমন আমার বুদ্ধি। তবে আজ সন্ধ্যায় সুলতান যখন হারেমে যাবেন তখন দারুন মজা হবে, তাই না? দুজনের মধ্যে ঝগড়াও বেধে যাবে- আমি হলফ করে বলতে পারি।’
বিবি বললে,‘কিন্তু ওঁরা যখন সত্যিটা বুঝতে পারবেন তখন তো রেগে যাবেন খুব, তাই না?’
আবু নোয়াসের কথাই সত্যি হল। সেদিন সন্ধ্যায় দরবারের কাজ শেষ হতেই সুলতান উপস্থিত হলেন সুলতানার হারেমে। তাঁর উদাস চোখের দিকে সুলতানা জিগ্যেস করলেন,‘আপনাকে এমন হতাশ দেখাচ্ছে কেন, মহামান্য সুলতান? কোনো দুঃসংবাদ......।’
‘হ্যাঁ ঠিকই আশঙ্কা করেছ বেগমসাহেবা। আমাদের প্রিয় আবু নোয়াসের বিবির এন্তেকাল হয়েছে। বেচারা আবু নোয়াস।’
‘না না, আপনি ভুল করেছেন জনাব, আবু নোয়াসেরই এন্তেকাল হয়েছে। কিছুক্ষণ আগেই আমার প্রিয় বাঁদি নিজে এসেছিল আমার কাছে। তাকে আমি আবু নোয়াসের জানাজার জন্য স্বর্ণমুদ্রা দিয়েছি।’
‘তুমি কি স্বপ্ন দেখছ বেগমসাহেবা।’ আশ্চর্য হয়ে বললেন সুলতান, ‘আজ দুপুরবেলা দরবারে এসেছিল আবু নোয়াস। তার চোখের জলের ধারা, সে জানাল তার আর নেই। তার হাতে একটি মুদ্রাও নেই, আসবাবপত্র, গালিচা কিছু নেই। সব বিক্রি হয়ে গেছে। তাই আমি তাকে বিবির জানাজার জন্য স্বর্ণমুদ্রা দিয়েছি।’
অনেকক্ষণ ধরে বাক্ বিতন্ডা চলছে তো চলছেই। কেউ কারোর কথা শুনছে না। তখন কি হল
সুলতানের দ্বাররক্ষীকে সঠিক খবর আনতে পাঠানো হবে।
ওদিকে জানালার ধারে বসে আবু নোয়াস ও তার বিবি খোশগল্পে মশগুল তখন। হঠাৎ তার নজরে পড়ল, সুলতানের দ্বাররক্ষী তাদের বাড়ির দিকে আসছে। তিড়িং করে লাফিয়ে উঠল আবু নোয়াস। বলল,ওহে বিবি, ওঠো তাড়াতাড়ি। চাদর গায়ে দিয়ে শুয়ে পড়ো। ওই দেখো সুলতানের দূত আসছে খবর নিতে।’
বিবি তাড়াতাড়ি চাদর ঢাকা দিয়ে শুয়ে পড়ল বিছানায়।
তখনই দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকল দ্বাররক্ষী। ভণিতা না করে জিগ্যেস করল, ‘বাড়িতে কী কোনো অঘটন ঘটেছে?’
‘আমার বিবির এন্তেকাল হয়েছে।’ আবু নোয়াস বলল, ‘ওই দেখো তিনি......।’ কান্নায় ভেঙে পড়ল আবু নোয়াস।
‘আহা, শান্ত হোন, অত কাঁদবেন না। আমাদের সকলকেই একদিন চলে যেতে হবে।’এ কথা বলেই দ্বাররক্ষী চলে গেল।
দ্বাররক্ষী ফিরে এল। সুলতান জিগ্যেস করলেন, ‘তুমি কী দেখে এসেছ, কার এন্তেকাল হয়েছে?’
‘আজ্ঞে মহামান্য হুজুর, তিনি আবু নোয়াসের বিবি।’ উত্তর দিল দ্বাররক্ষী।
দ্বাররক্ষী চলে যেতেই সুলতানা রুক্ষকন্ঠে বললেন, ‘না না, তা হতে পারে না। আপনাকে খুশি করতেই বিবির এন্তেকালের কথা বলেছে দ্বাররক্ষী।’
সুলতানা তখন তাঁর প্রধান রক্ষীকে ডেকে বললেন, ‘ওহে শোনো, তুমি এখুনি আবু নোয়াসের বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নাও, কে বেঁচে নেই জেনে এসো।’
রক্ষী আদাব জানিয়ে পিছনে ফিরে পা বাড়াতেই সুলতানা বললেন, ‘আর শোনো, ফিরে এসে তুমি সত্যি কথাটাই বলবে, নয়তো তোমার কপালে কী জুটবে তুমি ভাবতেও পারবে না।’
সুলতানার প্রাসাদ থেকে আবু নোয়াসের বাড়ি বেশি দূরে নয়, কাছেই। আবু নোয়াস যা ভেবেছিল ঠিক তাই হল। সে সুলতানার রক্ষীকে তাদের বাড়ি আসতে দেখে তাড়াতাড়ি বলল,‘এবার আমার পালা বিবি। আমি শুয়ে পড়ছি, চট করে চাদরটা দিয়ে আমার শরীরটা ঢেকে দাও।’
এই বলে আবু নোয়াস বিছানায় শুয়ে পড়ল। বিবি তাড়াতাড়ি তার শরীর একটা সাদা চাদর দিয়ে ঢেকে দিল।
বিবিকে কাঁদতে দেখে রক্ষী জিগ্যেস কর্রল,’এ কী আপনি কাঁদছেন কেন?’
‘আমার খসম আর নেই। তিনি...’ কান্নায় ভেঙে পড়ল সে।
রক্ষী চাদর তুলে দেখল আবু নোয়াসের শক্ত নিশ্চল দেহ। সঙ্গে সঙ্গে সে চাদর দিয়ে ঢেকে দিল তার দেহ। তারপর ফিরে গেল সুলতানার প্রাসাদে।
সুলতান জিগ্যেস করলেন, ‘কী দেখে এলে তুমি?’
‘আজ্ঞে হুজুর, বেগমসাহেবা ঠিকই বলেছেন, আবু নোয়াসই এ মুলুক ছেড়ে চলে গেছেন। আমি নিজে দেখে এসেছি তাঁর প্রাণহীন দেহ।’
‘ না না, তা হতে পারে না। আমি কয়েক ঘন্টা আগে তার সঙ্গে কথা বলেছি, সে নিজে জানিয়েছে তার বিবির এন্তেকালের দুঃসংবাদ। নাঃ, কিছু গন্ডগোল হচ্ছে, এখুনি পরখ করে দেখতে হচ্ছে আমাকে আসল ঘটনা কী।’
তখনই সুলতান ঘোড়ায় টানা সোনার রথে উঠে বসলেন। তাঁর পাশে সুলতানা। একটুক্ষণ পরেই সেই যান এসে থামল আবু নোয়াসের বাড়ির সামনে।
বিবির সঙ্গে মশকরা করতে করতে আবু নোয়াস হঠাৎ থমকে গেল। তার দোরগোড়ায় সুলতানের স্বর্ণযান থামার শব্দ শুনতে পেল সে। পথের দিকে তাকিয়ে সে দেখল সুলতান আর সুলতানা যান থেকে নামছেন।
‘শিগগিরি শিগগিরি- সুলতান আসছেন। হুড়মুড় করে আবু নোয়াস শুয়ে পড়ল বিছানায়। তারপর বিবিকে বলল, ‘এসো এখানে শুয়ে পড়ো, আমাদের দুজনের কারোর দেহে প্রাণ নেই।’
সুলতান ঘরে ঢুকলেন। তাঁর চোখে-মুখে কালো ছায়া। তাঁর পিছনে পিছনে সুলতানা এলেন। তাঁর সারা শরীর অজানা আশঙ্কায় থরো থরো।
তাঁরা দুজনে বিছানার দিকে এগিয়ে গেলেন। সুলতান অবাক হয়ে দেখলেন, দুটি মানুষ বিছানায়, চাদর দিয়ে ঢাকা তাদের নিথর দেহ।
সুলতান চিৎকার করে বললেন, ‘এই আজব কান্ডের রহস্য কী? কে বলতে পারবে?’ তারপর একটু থেমে তিনি বললেন, ‘যে পারবে তাকে আমি এক সহস্র স্বর্ণমুদ্রা দান করব।’
তখনই চাদর সরিয়ে একজন উঠে বসল। বিস্মিত সুলতান দেখলেন, সে আর কেউ নয় আবু নোয়াস স্বয়ং। কাঁপা কাঁপা গলায় হাতজোড় করে সে বলল, ‘আজ্ঞে আমাকেই দিন এক সহস্র স্বর্ণমুদ্রা। আর কাউকে দেবেন না।’
উঠে বসল বিবি, সুলতানার প্রিয় বাঁদি। তার চোখে-মুখে ভয়, আতঙ্ক। কী ভয়ংকর শাস্তি অপেক্ষা করছে তাদের জন্য কে জানে।
সুলতানের গম্ভীর মুখে আলোর রেখা ফুটে উঠল। তাঁর অট্টহাসিতে চমকে গেল সবাই। সুলতানাও খিলথিল করে হেসে উঠলেন।
সুলতান বললেন, ‘বাঃ বাঃ আবু নোয়াস, এটাও তোমার একটা চমৎকার ভাঁড়ামি বটে। আগে বুঝতে পারেনি।’
আবু নোয়াস ও তার বিবি উঠে বসলো উঠে দাঁড়িয়ে আদাব জানাল সুলতান ও সুলতানাকে।
সুলতান বললেন, ‘আমি এক সহস্র স্বর্ণমুদ্রা পাঠিয়ে দেব।’
আমাদের আশা, এবার আবু নোয়াস এই মুদ্রা ভেবেচিন্তে খরচ করবে।