[:bn]হিন্দি ফ্লিমই আমার আসল জায়গায------ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে দেখা হলেই একটা কথা স্পষ্ট হয়ে যায় যে উনি সর্বদাই আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছেন। এই জন্যই কোনো ব্যাপারে তাড়াহুড়ো দেখান না। সেটা বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা হোক কিংবা হলিউড বা বলিউড ফ্লিমই হোক। সবসময় একটা সংযমের সঙ্গে নিজের কাজকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন । এই সাক্ষাৎকারে অনেক মুশকিলে প্রশ্নে উনি স্মার্টলি উত্তর দিয়েছেন।
প্রশ্ন : আপনি শুরুতে হলিউডের কিছু টিভি শো এর কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন?
প্রিয়াঙ্কা : যখন আমি হলিউডে কাজ করবার জন্য মনস্থির করি তখন এমন কিছু অফার পাই যা আমি কখনো করতে চাই না। আমার মনে শুধু একটাই কথা ছিল, যখন কাজ করতেই এতদূর এসেছি তখন এমন কাজ কেন করব ,যা আমার মনমতো নয়। এমনিও এখানে ভারতীয়দের যেমন দেখানো হয় আমি সেই স্টিরিও টাইপ ব্যাপারটাকে ভাঙতে চেয়েছিলাম। আমার চেষ্টা ছিল যে শুধুমাত্র ভারতীয় অভিনেত্রী রুপে নয় বরং একজন অভিনেত্রীর রূপে দর্শক আমাকে দেখুক ।
প্রশ্ন : কিন্তু আপনি যখন ছোট ছিলেন তখন আপনাকে আমেরিকাতেও অপমানিত হতে হয়েছিল-- তাই নয় কী?
প্রিয়াঙ্কা : হ্যাঁ ,আমি এখনও সেই কথা ভুলতে পারিনি। আমেরিকাতে আমি অনেক সময় কাটিয়েছি । মা-বাবার ইচ্ছাতে আমি ছোটবেলায় নিউইয়র্কে এক আত্মীয়ের কাছে থেকে পড়াশোনা করি। সেই সময় হোয়াইটদের মধ্যে আমি একমাত্র ভারতীয় ছিলাম। আমাদের ক্লাসে একটা মেয়ে ছিল, নাম জেনিন । আমি ক্লাসে ঢুকলেই ও আমাকে ক্ষ্যপাতো ,ওই দেখো, ব্রাউনি এসে গেছে ।ওর শরীর থেকে মশলার গন্ধ বেরোয় । নিজের দেশে ফেরত যাও । সবার নাকে যে মসলার গন্ধ আসছে ........... ওর কথা শুনে আমার খুব রাগ হতো । ভাবতাম কেন.... আমার শরীরের রং এমন। ক্যান্টিনে যেতেও ভয় লাগতো। বাথরুমে বসে লাঞ্চ করতাম । একদিন মা বাবাকে বললাম আমি আর সহ্য করতে পারছি না। তাই হতাশ হয়ে আমাকে নিজের পরিজনদের কাছে ফিরে আসতে হয়।
প্রশ্ন : এরপর কিভাবে ফিরে পেলেন আত্মবিশ্বাস?
প্রিয়াংকা : আমার আত্মবিশ্বাস ফেরাতে আমার মায়ের মত বড় ভূমিকা ছিল। আমি সুন্দর এই বিশ্বাস ফেরাবার জন্য মা আমার নাম ভারতসুন্দরী প্রতিযোগিতায় পাঠিয়ে দেন। আর ওঁর এই উদ্যোগ আমাকে হতাশ করেনি। ইন্ডিয়ার পরে আমি মিস ওয়ার্ল্ডও হয়েছি । আসলে কোন জায়গা থেকে হার মেনে সরে আসা আমার না-পছন্দ। এই সময় একটা জেদ আমার মাথায় চেপে বসেছিল। এটাকেই কিছু লোক ঔধত্য ভেবে নিয়েছে। এখন আমার মনে হয় কেন আমি স্কুল ছেড়ে চলে এসেছি। কেন ওদের সঙ্গে লড়াই করিনি ।
প্রশ্ন : আপনার বাবা আপনার হলিউডের সফলতা দেখতে পায়নি ?
প্রিয়াংকা : এমন সব সাফল্যের দিনে আমি পাপাকে স্মরণ করি। কেননা পাপাই সেই মানুষ যিনি আমাকে পুরুষশাসিত ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের অধিকারের জন্য লড়বার সাহস দিয়েছেন। উনি চাইতেন আমি হলিউডে চেষ্টা করি। আমার চেষ্টা সফল হয়েছে কিন্তু সেই সাফল্য
দেখবার জন্য পাপা আর নেই ।
প্রশ্ন : আপনার নামের সঙ্গে তো এখন ইন্টারন্যাশনাল স্টারের স্টাম্প লেগেছে?
প্রিয়াংকা : কী বলেছেন আপনি! আমার জন্য তো এটা একটা বিরাট বিস্ময় । আমার সবথেকে ভালো লাগছে এটা দেখে যে এখানে এখন লোক হিন্দি ফিল্মের বিষয় বেশি বেশি জানতে চায় । এক ভারতীয় হিসাবে আমি এই সম্মান পাচ্ছি এটাই আমার সব বড়ো এসেট ।
[:]