[:bn]সন্দীপ সেনবয়স বাড়ার, জিনকে অকেজো কর
এক বিশেষ জিনের ক্রিয়াতেই আমাদের বয়স বাড়ে। ক্রমশ বৃদ্ধ হয়ে কর্মশক্তি হারিয়ে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাই। কম ক্যালরিযুক্ত খাদ্যগ্রহণ ইস্ট, কীটপতঙ্গ, বানর এমনকি মানুষেরও জীবনকাল বা আয়ু বাড়িয়ে দেয়। এই তথ্য থেকে তেল আভিড বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লাডাটনিক স্কুল অফ কম্পিউটার সায়েন্সের গবেষক ছাত্র কেরেন হজহাক এবং তাঁর সহপাঠীরা একটি কম্পিউটার বিকশিত তথ্যসূত্র আবিষ্কার করেছেন যা বলে দেবে বিশেষ কোন জিনটি নিষ্ক্রিয় করলে কম ক্যালরিযুক্ত খাদ্যগ্রহণের সমান বা বেশি সুফল দিয়ে বয়স বাড়া কমাবে।
নেচার কমিউনিকেশনস' প্রকাশিত তথ্য জানাচ্ছে এই আবিষ্কার থেকে জরা রোষের নতুন ওষুধ আবিষ্কার হবে। ইজহাকের তথ্যসূত্র বলছে ওষুধের প্রাথমিক লক্ষ্য হবে জরার জন্য দায়ী জিন সমন্বিত কোশটিকে না মেরে ফেলে তাকে শরীরের অন্য কোনো সুস্থ জায়গায় সরিয়ে দেওয়া যেখানে সে কার্যকর হতে পারবে না। একে তাঁরা বলছেন বিপাকীয় পরিবর্তন সূত্র বা MTA (Mebolic Transformation Algrithm)। ইতিমধ্যেই MTA-র অনেকগুলি জিন তাঁরা ইস্টের মধ্যে পেয়েছেন যাদের কার্যক্ষমতা নষ্ট করলেই ইস্টের জীবনকাল বেড়ে যাচ্ছে তাতে তারা বেশি ক্যালরি গ্রহণ করার পরও।
মানুষের ক্ষেত্রে ওবেসিটি, মধুমেহ, ক্যানসার প্রভৃতি রোগের চিকিৎসায় এই আবিষ্কার কাজে লাগবে বলেই বিজ্ঞানীরা মনে করেন।
রোবো বি-সত্যি কি মৌমাছি?
ফুলের ওপর গুনগুন করে উড়ছে। কাছে গিয়ে দেখলে, আরে এ তো মৌমাছি নয়। ছোট্ট একটা প্লেনের মত যন্ত্র উড়ছে। হ্যাঁ, এরকমই যন্ত্র তৈরি করেছেন হার্ভার্ড স্কুল অফ ইনজিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সের বিজ্ঞানীরা। একটি পতঙ্গের ড্রোন। নাম দিয়েছেন রোবো বি(Robo Bee)। আশি মিলিগ্রাম ওজনের এই যন্ত্রটির ডানা জোড়া প্রতি সেকেন্ডে একশো কুড়িবার ওঠানামা করে রোবোকে ভাসিয়ে রাখে। রোবো বির দু’চোখে আছে সেনসর, ক্যামেরা। ডানদিকের চোখ ঘেঁষে আছে বিশ্লেষক যন্ত্র যা মস্তিষ্কের মতো কাজ করে। সত্যিকারের মৌমাছির মতো এরা বিভিন্ন গ্যাসের গন্ধ নিয়ে তার সঠিক উৎস বিশ্লেষণ করতে ও সঠিক জায়গাটিতে পৌঁছতে পারে। এরা কৃএিম পরাগ সংযোগে সহায়তা করতে পারে। দশ বছর গবেষণার পর এটি তৈরি সম্ভব হয়েছে।
রোবোটিক গোড়ালি সাহায্যকারী
আমরা এখন বায়োনিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গর যুগে প্রবেশ করছি। যদিও এখনো পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। সম্ভব হলে তো আর বুড়ো হব না। একটি জাপানী কোম্পানি পায়ের একটি যন্ত্র তৈরি করেছেন। যেটি পরলে বৃদ্ধরাও খুব দ্রুত চলাফেরা করতে পারবে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তার গতি ও হাঁটার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকে। এই জুতোর মতো যন্ত্র গোড়ালি চেপে পায়ে পরলে পর সবল যুবকের মতো হাঁটতে সাহায্য করবে। এর সেনসর মস্তিষ্ক সচল ও কার্যকর রেখে হাঁটাচলায় নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে।[:]