[:bn]সন্দীপ সেনঘুমমস্তিষ্কেরবিষাক্তপদার্থসাফকরে
রাত্রের একটি নিশ্চিন্ত সুন্দর ঘুম কীভাবে মস্তিষ্কের বিষাক্ত পদার্থ পরিস্কার করে আবার কর্মশক্তি যোগায় এটা বিজ্ঞানীদের কাছে জিজ্ঞাস্য ছিল। সে-উত্তর দিয়েছেন নিউইয়র্কের রস্টোর মেডিকেল সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রানজিশনাল নিউরোমেডিসিনের গবেষকরা। তাঁদের মতে মস্তিষ্ক এসময় টয়লেটের ফ্ল্যাসের মতো বিষাক্ত পদার্থগুলো বাইরে বের করে দেয়।
কীভাবে ! গবেষকরা দেখেছেন ঘুমের সময় মস্তিষ্কের কোশগুলির মধ্যে ফাঁক বা দূরত্ব বেড়ে যায়। এই ফাঁক মস্তিষ্ক-কোশে দিনের বেলায় কাজের ফলে সঞ্চিত বিষাক্ত পদার্থ বাইরে বের করতে(Flushout) সাহায্য করে। তাঁরা দেখেছেন ঘুমের সময় গ্লিমফ্যাটিক (Glymphatic) তন্ত্র নামে একটি তন্ত্র ক্রিয়াশীল হয়ে মস্তিষ্কের কোশগুলির ফাঁক বরাবর সেরিব্রো স্পাইনাল ফ্লুইড(CSF) যা মস্তিষ্কের বাইরে এবং সুষুম্নাকান্ডের বাইরে অবস্থান করে তার প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। সেই তরলে বিষাক্ত পদার্থগুলি দ্রবীভূত হয় এবং ঘুম ভাঙার পর CSF আবার নিজের জায়গায় ফিরে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে বিষাক্ত পদার্থ মস্তিষ্কের বাইরে যায়। ইঁদুরের ওপর গবেষণা করে তাঁরা এই তথ্য পেয়েছেন। তাঁদের গবেষণা প্রমাণ করে ঘুম কত প্রয়োজনীয়।
উভচরেরাকিহেরেযাবে?
ডারউইন বলেছেন প্রকৃতিতে তারাই টিকে থাকে যারা জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়। পৃথিবী জুড়ে উভচরেরা (মানে বিভিন্ন রকম ব্যাঙ প্রভৃতি) এক অসমপ্রায় হার নিশ্চিত এরকম এক লড়াই চালাচ্ছে এক বিষাক্ত ছত্রাকের বিরুদ্ধে। এই ছত্রাক পৃথিবী জুড়ে ব্যাঙসহ অন্য উভচরদের মেরে ফেলছে। উভচরেরা ছত্রাকের বিষক্রিয়া নিবারনের জন্য যে টক্সিক ফ্যাক্টর বা অ্যান্টি টক্সিক বস্তু নিঃসরণ করছে তা তাদের বাঁচাতে পারছে না। দলে দলে তারা মারা পড়ছে। ভ্যান্ডারবিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জার্নাল সায়েন্সে একথা জানিয়েছেন। এই ছত্রাকটির নাম ব্যাট্রাকোকইট্রিয়াম ডেনড্রোবেটিডিস। সবচেয়ে বড় কথা আণুবীক্ষণিক এই ছত্রাক ক্যানসার কোশ কেও রেয়াত করে না। সেজন্য ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য নতুন এক গবেষণার দিশাও দেখা যাচ্ছে।
আশ্চর্যচিমটে-ছুরি!
শল্যচিকিৎসায় যে সব ছুরি ব্যবহার করা হয় তাদের বলে স্ক্যালপেল। লন্ডনের ইম্পিরিয়াল হাসপাতালের গবেষক চিকিৎসকরা এক আশ্চর্য বুদ্ধিমান চিমটে-ছুরি তৈরি করেছেন। আলাদিনের প্রদীপের মতো এই চিমটে-ছুরি অনেক কিছু বাদ দিতে না পারলেও একবার অপারেশনের পর দ্বিতীয় অপারেশনের প্রয়োজন হয় না। এই আশ্চর্য ছুরি টিউমারের গায়ে বা শরীরের কোনো কোশ-কলায় ছোঁয়ালেই জানান দেয় কোশ-কলা সুস্থ না ক্যানসারগ্রস্ত। এই ছুরির নাম ইকনাইফ(iknife)। ইকনাইফ দিয়ে কোনো কিছু কাটার সময় সেখান থেকে কোশ পোড়ার জন্য যে ধোঁয়া ওঠে সেটি বিশ্লেষণ করে। ধোঁয়ার মধ্যে যে সব জৈবিক উপাদান থাকে, তিন সেকেন্ডের মধ্যে ছেড়ে সব কিছু জানান দেয়। শল্যচিকিৎসার জায়গাটি ক্যানসারগ্রস্ত কিনা এবং চিকিৎসক টিউমার-এর সামান্যতম অংশ ও কাটতে তথা পোড়াতে বাকি রেখেছেন কিনা সব তথ্য ইকনাইফ-এর সঙ্গে যুক্ত মনিটরে ভেসে ওঠে। সেই মতো চিকিৎসকও ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। টিউমারের বাকি অংশ ছেঁটে ফেলেন।[:]