[:bn]উত্তর কলকাতার একটি বাড়ি ১৬নং বোসপাড়া লেন। এই বাড়িতেই ১৮৯৮-এ ভগিনী নিবেদিতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বালিকা বিদ্যালয়। ঐতিহ্যমণ্ডিত এই বাড়িতে পয়ের ধুলো পড়েছিল রবিন্দ্রানাথ ঠাকুর,শ্রী অরবিন্দ,আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, জগদীশ চন্দ্র বসু, নন্দলাল বসুর মতো দিকপাল ব্যাক্তিদের।ভগ্নপ্রায় জীর্ণ এই বাড়িটার সংস্কার করে নবরূপ দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি ভগিনী নিবেদিতার সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে। বাড়িটার সঙ্গে ইতিহাস পরতে পরতে জড়িয়ে। স্বামীজী মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেলকে চিঠিতে লিখেছিলেন--- 'ভারতের জন্য, বিশেষত নারীসমাজের জন্য, পুরুষের চেয়ে নারীর একজন প্রকৃত সিংহিনীর প্রয়োজন।
স্বামীজীর ডাকে ১৮৯৮- এর জানুয়ারিতে মার্গারেট কলকাতায় আসার কিছুকাল পরেই এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। নারী শিক্ষা ও সমাজকে কুসংস্কারমুক্ত করার কাজে তিনি নিজেকে ব্রতী করেন।একাধারে তিনি ছিলেন যেমন অনমনীয়, তেজস্বী আবার তেমনই স্নেহময়ি ও সেবার প্রতিমূর্তি। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা অর্জন ছিল তাঁর জীবনের স্বাধনা। সেবা ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে রাজনীতি এবং দেশোদ্ধারের কাজের মেলবন্ধন। এই ব্যতিক্রমী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যর জন্যই হয়ত তিনি স্বামী বিবেকানন্দের আশীর্বাদধন্য হয়েছিলেন। অবশ্য আরো একজনের মধ্যে আমরা এই ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য পাই --তিনি শ্রী অরবিন্দ। ভারতীয় শিল্প, সংস্কৃতি, দর্শনকে পাশ্চাত্যের সামনে তুলে ধরতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন নিবেদিতা।লন্ডনের বিভিন্ন পত্রিকায় লিখতেন ভারতবর্ষের ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্বন্ধে। যাতে ভারতের পরাধীনতার কুফল সম্পর্কে পাশ্চাত্য জগতের মানুষ সচেতন হতে পারেন। আজ ভারতবর্ষ স্বাধীন। অগ্রগতিও হয়েছে যথেষ্ট। কিন্তু অনগ্রসতার অন্ধকার এখনো বহু ক্ষেত্রে রয়ে গেছে।যে 'sunrise'-এর স্বপ্ন ভগিনী নিবেদিতা দেখেছিলেন, তা কি সত্যিই হয়েছে ভারতবর্ষের আকাশে ? এর উত্তর আমার জানা নেই। আপনারা ভেবে দেখবেন।
ফিরে আসি এখনকার কথায়। আপাতত রাজ্য কাঁপছে ডেঙ্গিতে। মশা মারতে কামান দেগেও অবস্থা আয়ত্তে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনাদের জন্য একটি শুভকামনা রইল--- মশা মুক্ত থাকুন।