[:bn]২০০৮ এ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো মহাকাশে পাঠায় চন্দ্রযান -১কে , চাঁদের সম্বন্ধে অজানা তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে, কিন্তু বছর ঘোরার আগেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে মহাশূন্যে ছোট্ট চন্দ্রাযানটি কোথাও হারিয়ে যায়। সম্প্রতি মহাশূন্যের ওপার থেকে নাসা খুঁজে বের করেছে দেড় মিটার লম্বা হারিয়ে যাওয়া চন্দ্রাযান-১কে । হয়ত এই তথ্যটা তোমাদের অজানা নয়, তাও এই বিষয়ে আলোচনা করার উদ্দেশ্য একটাই --যে চাইলে মানুষ অসাধ্য সাধন করতে পারে। সফলতা নির্ভর করে মানুষের অদম্য ইচ্ছাশক্তির এবং কর্মনিষ্ঠার ওপর। এর উদাহরণ ভুরি ভুরি আছে। এই যে আমরা এখন ফোর জি টেকনোলজি নিয়ে এত মাতামাতি করছি , আজ থেকে ১২২ বছর আগে এর থেকে অনেক উন্নতমানের গবেষণামূলক কাজ কিন্তু আমাদের এই কলকাতার বুকে হয়ে গেছে। ১৮৯৬ তে মি. মি.ওয়েভলেন্থ বিদ্যুৎতরঙ্গ তৈরি করে বেতার বিজ্ঞানের ওপর যে কাজ জগদীশচন্দ্র বসু করেছিলেন, বর্তমানে সেই কাজের ওপর ভিত্তি করে বৈজ্ঞানিকরা ফাইভ জি আবার নতুন করে আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রকৃতপক্ষে বেতার তরঙ্গের আবিষ্কারক জগদীশচন্দ্র বসু, যদিও আমরা বইয়ের পাতায় নাম দেখি ইতালিও বৈজ্ঞানিক গুগলিয়েলমো মার্কনি-র । জগদীশ বসু তাঁর সময়ে অনেক আগে এগিয়েছিলেন বলে তাঁর সঠিক মূল্যায়ন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। চরম প্রতিকূল অবস্থায় সব রকম প্রতিবন্ধকতা নস্যাৎ করে দিয়ে দুঃসাধ্য কাজটি সাধন করেছিলেন । আমাদের দেশের এই রকম কত কৃতি সন্তান আছে যাদের কর্মনিষ্ঠা ও জীবন সংগ্রামের কাহিনী তোমাদের উদবুদ্ধ করবে। গতানুগতের চার দেয়ালের বাইরে বেরিয়ে নতুনকে জানার বাসনাটা তোমাদের মধ্যে যেন বেঁচে থাকে । তবে শিশু-কিশোর বন্ধুদের কাছে একটা আবেদন আছে -- যাই করো সেটা যেন দেশের কাজে লাগে ।মানছি ,আমাদের দেশ ঝাঁ -চকচকে নয়, কাজের পরিবেশও সব সময় অনুকূল হয়না। তাও দেশকে ভালবাসতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না এই দেশমাতাকে স্বাধীন করতে কত সন্তান আত্মত্যাগ করেছেন। সেই স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি হতে চলেছে ।তোমাদের দেশের প্রতি কর্তব্য পালন করতে হবে। আজ এই পর্যন্ত থাক। তোমরা সবাই খুব ভালো থেকো আর নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা নিও।