বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তখন ভাগলপুরে। এস্টেট ম্যানেজারের চাকরি নিয়ে গিয়েছেন। বিভূতিভূষণ উত্তর কলকাতায় খেলাৎচন্দ্র ঘোষের বাড়িতে সেক্রেটারি, গৃহশিক্ষক ছিলেন। পরে তাঁর এস্টেটের ভাগলপুর সার্কেলের সহকারী ম্যানেজারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯২৮ সালের ২৬ এপ্রিল। বাংলা ১২ বৈশাখ, ১৩৩৫। 'পথের পাঁচালি' শেষ করলেন বিভূতিভূষণ। অপুকে নিশ্চিন্দিপুর থেকে পথে নামিয়ে শেষ লাইনটি লিখলেন, "সে বিচিত্র যাত্রাপথের অদৃশ্য তিলক তোমার ললাটে পরিয়েই তো তোমায় ঘরছাড়া করে এনেছি। চল এগিয়ে যাই।--সমাপ্ত।" তার নিচে নামস্বাক্ষর- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তো, সেই দিনই মানে ২৬ এপ্রিল বিভূতিভূষণ পান্ডুলিপি পাঠিয়ে দিলেন সেকালের ডাকসাইটের পত্রিকা 'বিচিত্রা'-তে। দিনলিপিতে লিখেছেন, "আজ আমার সাহিত্য সাধনার একটি সার্থক দিন--এই জন্য যে আমি আমার দুই বৎসরের পরিশ্রমের ফলস্বরূপ উপন্যাসখানাকে 'বিচিত্রা'-তে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু পত্রপাট খারিজ হয়ে গেল সেটি।
সৌজন্যেঃ অশোক সেনগুপ্ত
নবকল্লোল, ৫৮ বর্ষ, দশম সংখ্যা, মাঘ ১৪২৪।