[:bn]জীবন্ত মানিব্যাগ:
বাঃ তাহলে তো খুব ভালো হয়। ঝাঁকালেই টাকা পাব আর দেদার চকোলেট, আইসক্রিম, কুকিজ খাব। না, এই জীবন্ত মানিব্যাগ ঠিক তার উল্টো। এটি আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে খরচ করতে সাহায্য করবে। বেশি খরচ করলে রাশ টানবে। এই মানিব্যাগের সংযোগ থাকবে আইফোনের সঙ্গে। যখন মানিব্যাগের অর্থনৈতিক সংকট থাকবে তখন প্রথমে তোমাকে ব্যয় বন্ধ করার জন্য বাধা দেবে। কথা না শুনলে সে বন্ধ হয়ে যাবে এবং তোমার মায়ের ফোনে তাঁকে জানিয়ে দেবে যে তুমি অহেতুক বাজে খরচ করছ। আবার যখন তুমি খরচ করার মত সচ্ছল হবে, মানিব্যাগ তখন তোমাকে সাহায্য করবে। এরকম ব্যাগের দরকার আছে কি? এটা তোমরাই ভাব।
উদ্বেগ ও মস্তিষ্ক:
আমাদের মধ্যে অনেকেই ক্ষতিকর নয় এমন জিনিসগুলিকে আমল না দিয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিতে তাদের দেখি। গবেষকরা দেখেছেন টিনএজার বা কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যাদের উদ্বেগজনিত মানসিক সমস্যা আছে তারাই এটি বেশি করে। স্বাভাবিক কিশোর- কিশোরীদের সঙ্গে মস্তিষ্কের গঠনগত তুলনা করে তাঁরা মস্তিষ্কের একটা বিশেষ অংশকে এজন্য চিহ্নিত করেছেন। বায়োমেড সেণ্ট্রালের জার্নাল বায়োলজি অফ মুভস এবং অ্যাজোইটি ডিসঅর্ডারে গবেষকরা জানিয়েছেন মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশ মিডিয়াল প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্স এজন্য দায়ী। এই অংশ যাদের দুর্বল তাদের মধ্যে পরিস্থিতিকে নেতিবাচক দিকে বিচার করার প্রবণতা বেশি। বিজ্ঞানীরা এ ধরনের অসুখকে ‘ইন্টাপ্রিটেশন ব্যয়াস’ বলে অভিহিত করেন। যদিও মস্তিষ্কের কোন অংশ এজন্য দায়ী বিজ্ঞানীরা সেটা চিহ্নিত করতে পারলেও কেন এটা হয় সেটা এখনো জানতে পারেননি।
তেজস্ক্রিয়তার ক্ষতি সারিয়ে তোলে সবজি:
তোমরা যারা ফুলকপি, ব্রকোলি প্রভৃতি খাবার টেবিলে দেখলে নাক সিটকাও ও তাদের জন্য এ খবর। তেজস্ক্রিয় রশ্মি ব্যবহার করে ক্যানসার কোশ ধ্বংস করা হয়। কিন্তু সেসময় পাশাপাশি থাকা সুস্থ কোশগুলিও ধ্বংস হয় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যদি না দেহ তাড়াতাড়ি সেগুলি মেরামত করে।
ওয়াশিংটনের জর্জ টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী গবেষকরা একটি রাসায়নিক বস্তুকে চিহ্নিত করেছেন DIM বলে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় তাঁরা দেখেছেন ব্রকোলি এবং ব্রকোলির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন সবজি, যেমন ফুলকপি,ব্রুকোনস প্রভৃতি খাবারে প্রচুর পরিমাণে থাকলে সেগুলি খাওয়ার পরেই প্রচুর DIM বা 31 31-ডিনডোলাইন মিথেন উৎপন্ন হয়। এই DIM তেজস্ক্রিয়তা ক্ষতিগ্রস্ত কোশ সহ অন্যান্য মৃতপ্রায় কোশ বা ক্ষতিগ্রস্ত কোশকে সুস্থ করে তোলে।